ছয় জিম্মি ফেরত পেলেও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়নি ইসরায়েল
ছয় জিম্মি ফেরত পেলেও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়নি ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ছয়জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পরও নির্ধারিত শর্ত অনুযায়ী ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেয়নি ইসরায়েল। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, পরবর্তী ধাপে নির্ধারিত আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া তাদের মুক্তি দেওয়া হবে না।
নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্ত ও হামাসের প্রতিক্রিয়া
এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন ও অপপ্রচার চালানোর কারণে আমরা বন্দী বিনিময়ের পরবর্তী ধাপ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি স্থগিত রাখছি।’
অন্যদিকে, হামাস ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির চরম লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে। সংগঠনটির মুখপাত্র বলেছেন, ‘নির্ধারিত সময় পার হলেও ইসরায়েল তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি, যা চুক্তির লঙ্ঘন।’
বন্দী বিনিময় চুক্তি ও বর্তমান পরিস্থিতি
যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, হামাস এ পর্যন্ত ২৫ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। এর প্রতিদান হিসেবে ইসরায়েলের ১,৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তে তা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, অধিকাংশ ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাওয়ায় নেতানিয়াহু আবারও গাজায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করতে পারেন। উগ্রপন্থী মিত্রদের চাপে তিনি দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতিতে যেতে অনাগ্রহী হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শর্ত মানা হলে তারা এক ধাপে বাকি সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। তবে ইসরায়েলের বর্তমান অবস্থানের কারণে বন্দী বিনিময় ও যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান এই সংঘাত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কেড়েছে। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও বাস্তবে যুদ্ধবিরতির দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
What's Your Reaction?






