যৌতুক মামলায় কারাগারে কৃষি কর্মকর্তা: প্রেম, বিয়ে ও বিচ্ছেদের নাটকীয় পরিণতি

যৌতুক মামলায় কারাগারে কৃষি কর্মকর্তা: প্রেম, বিয়ে ও বিচ্ছেদের নাটকীয় পরিণতি

লক্ষ্মীপুরে যৌতুকের মামলায় এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (তারিখ) লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আসামি আসিফ রেজা জামিন আবেদন করলে বিচারক আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান তা নামঞ্জুর করেন এবং কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

প্রেম, বিয়ে, এরপর দ্বন্দ্ব

রায়পুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসিফ রেজা নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বাসিন্দা। বাদী মনোয়ারা বেগম মুন্নী লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বাসিন্দা এবং আসিফের দ্বিতীয় স্ত্রী।

তিন বছর আগে কমলনগরে কর্মরত অবস্থায় আসিফের সঙ্গে মুন্নীর পরিচয় হয়। প্রথমে পেশাগত সম্পর্ক থাকলেও ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে মুন্নী তার প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে আসিফকে বিয়ে করেন।

বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন শুরু হয়। বদলির পর আসিফ তার প্রথম স্ত্রীর কাছে ফিরে যান এবং মুন্নীর সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার শর্তে মুন্নীর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন আসিফ।

আদালতের রায় ও পরবর্তী পদক্ষেপ

২৮ জানুয়ারি মুন্নী লক্ষ্মীপুর আদালতে যৌতুকের মামলা করেন। আদালত পরোয়ানা জারি করলে আসিফ সমঝোতার জন্য এক মাস সময় চান। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় মঙ্গলবার আদালতে হাজির হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বাদীর আইনজীবী মুহাম্মদ মোরশেদ আলম শিপন জানিয়েছেন, এই মামলায় বাদী ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে, রায়পুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল নথিপত্র পাওয়া গেলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।